এইচ এম ইকবাল, বুড়িচং,
স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়’ (রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়)। সত্যিই মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়। বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বড় ব্যবসায়ী কেন্দ্র, অফিস, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাতে শহীদ মিনারে কোনো ধরনের কর্মসূচি থাকার পরও ভরাসার বাজারের কোথাও কোথাও ছোট পরিসরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।শহীদ মিমারে বাজার সমিতির এবিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে চলে যান।বাজার সমিতির কোনো সদস্যরা শহিদ মিনার ফুলেল শ্রদ্ধায় ও স্মরণ করেমি।
তাই ভরাসার বাজারের দোকান গুলোতে কোথাও কোথাও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় নাই । দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণীতে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
সরকারি ছুটির মধ্যে জাতি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে। সরকারি সব ধরনের কর্মসূচিসহ বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নে সকল স্কুল, কলেজে শহীদ মিনারে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো কর্মসূচি বাধতামূলক করা হয়। কুমিল্লা জেলা- বিভিন্নাউপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সরকারি ছুটি এবং সরকারি নির্দেশনার মেনে স্বাধীনতা দিবসটিতে সরকারি ও বেসরকারি, দোকান গুলো পতাকা উত্তোলন ব্যাধতামূলক করার হয়।এই আইন না মানলে বুড়িচং উপজেলা নির্রাহী কর্মকর্তা ও থানার পুলিশের কড়া নজরদারি ও তৎপরতা রয়েছে। তবে জেলা ও উপজেলা গুলোতে স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে বলে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে নামে বাঙালি। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে ২৬ মার্চ থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে বীর বাঙালি। সুসজ্জিত শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন সাহসী প্রতিরোধ আর দেশপ্রেমই স্বাধীনতার লাল সূর্য এগিয়ে নেয় মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনী অত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় লাল-সবুজের পতাকা। বাঙালি পায় মুক্তির স্বাদ স্বাধীন এক ভ‚খন্ড।