স্টাফ রিপোর্টার,ঢাকা নির্বাচন কমিশন থেকেঃ
প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হয়ে যাওয়ায় স্থবিরতা কাটছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের। শুরু হয়েছে বিভিন্ন নির্বাচন কার্যক্রম হাতে নেওয়ার প্রস্তুতি। এক্ষেত্রে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে সংস্থাটি।ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুসিক নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেও ফেব্রুয়ারিতে কে এম নূরুল হুদার কমিশন বিদায় নেওয়ায় তার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়নি। এরপর ১৩ দিন ফাঁকা ছিল কমিশন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন নিয়োগ পাওয়ার পর দিন শপথ নিয়ে অফিস করছেন ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে এখনও নির্বাচনী কার্যক্রম নিয়ে তারা বসেননি। মূলত ক’দিন পরিচিতিমূলক কার্যক্রম, ভোটার দিবস নিয়েই সময় গেল। আগামী শনিবার (৫ মার্চ) টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রোববার (৬ মার্চ) থেকে কাজে হাত দেবে কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়,নতুন কমিশন কাজ শুরু করার পরপরই যেন নির্বাচন উপযোগী করপোরেশন গুলোর বিষয়ে নথি উপস্থাপন করা যায়, সে প্রস্তুতি চলছে। এক্ষেত্রে কুসিক নির্বাচনের হালচাল নিয়ে নথি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালানা শাখার উপ-সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, কমিশন এখনও তাদের কাজ পুরোদমে শুরু করেনি। হয়তো আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু করবে। এক্ষেত্রে তারা যদি কমিশন বৈঠক আহ্বান করেন সেখানে কুসিক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিংবা বৈঠকে না হলেও নথিতে বিষয়টি উপস্থাপন করা হতে পারে।
ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছরের ১৭ মে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১৬ মে এর মধ্যে।কর্মকর্তারা আরোও বলছেন, আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। এজন্য মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। এক্ষেত্রে গত ১৬ নভেম্বর থেকে এ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে।২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ সিটিতে সে সময় ভোট হয়েছিল ১০৩টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।২০১১ সালে দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে গঠন করা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নামে নতুন একটি করপোরেশন। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।