সাইফুল ইসলাম শিশির,কুমিল্লাঃ
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের কাইন্সিলর মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগের নেতা হরিপদও হত্যা মামলার দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়েছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সংরাইশ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।ন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই আসামি হলো, সাব্বির ও সাজেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাতে ডিবি ও পুলিশের একটি টিম সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় অভিযান চালায়। এ দলটি সংরাইশ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের কাছে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাজেন ও সাব্বিরকে উদ্ধার করা হয়। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি পিস্তল, একটি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি, গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় পুলিশ।নিহত ব্যক্তিরা, কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনায়, হিট স্কোয়াডের শনাক্ত ৬ জনের মধ্যে দুইজন। এর আগে কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে সম্ভাব্য ৬ আসামিকে শনাক্ত করে পুলিশ।উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকালে নগরীর পাথরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলরের নিজ কার্যালয়ে সোহেলসহ সাত দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন তিনি। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ মারা যান।