মিনহাজ উদ্দিন, কুমিল্লাঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে মামাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ফুফাতো বোন। এ ঘটনায় আসামিকে আটকের পর থানায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকায় মীমাংসা করা হয়েছে। এ সময় অভিযোগকারীকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ৬০ হাজার টাকা থানার খরচ বাবদ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় মুরাদনগর থানায় এ ঘটনা ঘটে।মামলার আসামি শাহিন (২৫) উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহিন প্রবাসে থাকাকালে দুই পরিবারের সম্মতিতে তার মামাতো বোনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। গত ১৭ আগস্ট দেশে ফেরেন। গত মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শাহিন অন্যত্র বিয়ে করেন।শাহিনের বিয়ের কথা শুনে তার মামাতো বোন তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানান। বিষয়টি নিয়ে আত্মীয়-স্বজন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হলে কোনো কাজ না হওয়ায় শনিবার সকালে মুরাদনগর থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন দুপুরে মুরাদনগর থানার এএসআই নুর-আজম অভিযুক্তকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।অভিযুক্ত শাহিনের বোন বলেন, ‘অভিযোগকারী আমার ফুফাতো বোন। আমার ভাই বিয়ে করেছে মাত্র চার দিন আগে। তার টাকা পয়সা দেখে বিপদে ফেলার জন্য গ্রামের কিছু খারাপ মানুষের কুপরামর্শে থানায় গিয়ে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। এর জেরে শনিবার দুপুরে পুলিশ আমার ভাইকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। থানায় দফারফার জন্য প্রথমে এক লাখ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরও ৩০ হাজার টাকা নেয়। আমাকে বড় স্যার বলেন, এক লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে অভিযোগকারীকে ৮০ হাজার টাকা দিবে, বাকি ৬০ হাজার টাকা থানার খরচ বাবদ রাখা হয়েছে।থানায় সালিসে উপস্থিত ইউসুফনগর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ মাস্টার জানান, ‘আমি উপস্থিত ছিলাম, তবে বিচার আমি করিনি। দুপক্ষের উপস্থিতিতে থানায় বসে সালিস শেষে এক ঘণ্টার মধ্যে মেয়েকে ৮০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’সালিসকারী এএসআই নূর-আজম বলেন, ‘ফুফাতো বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে মামাতো ভাই শাহিনকে থানায় নিয়ে আসি। দুপক্ষের অনুমতি ক্রমেই ওসি স্যারের নির্দেশে সালিস করা হয়। আর সালিসে মেয়েকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এব্যাপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমার অনুমতি ক্রমেই এএসআই নূর-আজম এই সালিস করেছে। আমার জানামতে মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলের পরিবারের কাছ থেকে এই টাকা নেওয়া হয়েছে।