সংবাদদাত্রা:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হেসাখাল বাজারে বুধবার গভীর রাত ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে আবদুর রশিদ ও রবিউল হকের মার্কেটের ১৪টি দোকান ঘরসহ প্রায় ৩ কোটি টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে দোকানগুলো পুড়ে গেছে। লাকসাম থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনেন।উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল আহম্মেদ ভূঁইয়া অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন।জানা যায়, নাঙ্গলকোটের হেসাখাল বাজারের আবদুর রশিদের মার্কেটের একটি দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হচ্ছে, সুমন ফার্মেসী, মাঈন উদ্দিনের মা ফার্মেসী, বছিরের মোরগীর দোকান, মজিবুল হক, লিটন, জামালের মুদি দোকান, নাছিরের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, মাসুদ, জসিম, আহসান, সরওয়ারের কসমেটিকস, জাহাঙ্গীরের ষ্টেশনারী দোকান, ফয়সালের কাপড় দোকান, খোরশেদের টেইলারিং দোকানসহ অন্তত ১৭ টি দোকান অগুনে পুড়ে যায়।সুমন ফার্মেসীর মালিক সুমন বলেন, গত এক মাস পূর্বে ঋণ করে আমার ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করি। আমার ফার্মেসীতে প্রায় ১২ লাখ টাকার ঔষধ ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। মুদি দোকানদার মজিবুল হক বলেন, আমার দোকানে প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল ছিল। অগ্নিকান্ডে আমি মালামাল হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি।উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে কিছু ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।